নারী পুরুষের এবং পুরুষ নারীর বেশ ধারণ কি জায়েজ?




 উত্তর : ইসলামের দৃষ্টিতে নারী পুরুষের এবং পুরুষ নারীর বেশভূষা গ্রহণ সাদৃশ্য, আকৃতি ও বেশভূষা অবলম্বন হারাম ও কবিরা গুনাহ। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি, ‘নবি (সা.) পুরুষ হিজড়াদের ওপর এবং পুরুষের বেশধারী মহিলাদের ওপর লানত (অভিসম্পাত) করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ওদের ঘর থেকে বের করে দাও।’ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন, নবি (সা.) অমুককে বের করেছেন এবং উমর (রা.) অমুককে বের করে দিয়েছেন।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৫৮৮৬]।


রাসূল (সা.) বলেন, ‘তিন ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না এবং কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাদের দিকে তাকাবেন না। তারা হলো, ১. পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান, ২. পুরুষের সাদৃশ্য অবলম্বনকারী নারী ৩. এবং দাইয়ুস। [মুসনাদ আহমদ : ৬১৮]।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) সেসব পুরুষকে অভিসম্পাত করেছেন যারা নারীদের পোশাক পরে এবং সেসব নারীকে অভিসম্পাত করেছেন যারা পুরুষের পোশাক পরিধান করে। [আবু দাউদ : ৪০৯৮]।

অন্য হাদিসে এসেছে, রাসূল (সা.) আরও বলেন, ‘যে নারী পরুষের সঙ্গে সাদৃশ্য অবলম্বন করে এবং যেসব পুরুষ নারীর সাদৃশ্য অবলম্বন করে, তারা আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।’ [আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) হতে বর্ণিত, সহিহুল জামে হা/৪৫৩৩, সহিহ]

ইসলাম ও জীবন

Comments

Popular posts from this blog

’সাকিব হবেন বিপিএলসেরা, চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা’

নতুন ফিচার আসছে থ্রেডসে, চলবে না রাজনীতি বা সংবাদ